অষ্টগ্রাম উপজেলা একটি হাওড় বেষ্টিত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলা। কিশোরগঞ্জ হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার অবস্থান। কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হতে অষ্টগ্রামের দূরত্ব প্রায় ৬০ কি: মি:। যার ভৌগলিক অবস্থান ২৪.১৬ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। অষ্টগ্রাম উপজেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন ও ইটনা, দক্ষিণে বি,বাড়ীয় জেলার নাছির নগর, পূর্বে বি,বাড়ীয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর ও নিকলি উপজেলা।চারিদিকেই বর্ণিত স্থানগুলির নিম্নাঞ্চলের সংগেই অষ্টগ্রামে ভৌগলিক যোগাযোগ। এই নিম্নাঞ্চলকেই হাওর বলা হয়। অষ্টগ্রারেম অবস্থান হাওরের মাধখানে। বর্ষাকালে চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। দেখল মনে হয় যেন গ্রামগুলি পানিতে ভেসে আছে। বন্যা দূর্গত স্বাভাবিক অঞ্চলের বিপর্যস্ত জীবন যাত্রার দূর্ভোগ এখানে নেই, এখানে বরাং বিপরীতটাই সত্য। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ সুবিধার জন্যই বিয়েসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে লোকজন মেতে উঠে। হাওর কথাটি সাগর থেকে উনপন্ন হয়েছে- সাগর> সায়র> সাগর। সাগর অসমিয়া প্রভাবে হাওর প্রকৃত রুপ ধারণ করেছে বলে মনে হয়। অনুমারন করা হয়- অসমিয়া ভাষাভাষিদের এককালে এই অঞ্চলে শাসন ছিল বলে হাওর শব্দটি বাংলায় যুক্ত হয়েছে। সাগরের মত কুলকিনারাহীন অথৈ পানি দেখেই সম্ভবত এতদাঞ্চলের মানুষ একে প্রথম সাগর ভেবে নিয়েছে।
এই অঞ্চলের মানুষে কাছে তিনটি ঋতুর প্রভাব বেশী। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা। শুরু হয় কার্ত্তিক মাস দিয়ে। কার্ত্তিক মাসে যখন হাওরের পানি নেমে যায় তখন এই অঞ্চলেরমানুষে মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য দেখা যায়। ফসল বোনার জন্য চাষী লাংগল জোয়াল গরু নিয়ে মাঠের দিকে যায়। নতুন ফসল বোনে। বৎসর শরু হয় এখান থেকেই। বাংলা বৎসরের শুরু বৈশাখ কিংবা সংস্কৃতে অগ্রহায়ন, যাকে বৎসরের প্রথম মাস বলা হয়। বাংগালী সংস্কৃতির মধ্যে লালিত হয়েও এখানকার ব্যতিক্রম নি:সন্দেহে ভৌগলিক প্রভাবেরই ফল। তবে প্রযু্ক্তির প্রভাবে এখন কৃষক আর গরু নিয়ে মাঠে যায় না।স্বল্পসময়ে ট্রাক্টর দিয়ে অধিক পরিমান জমি চাষ করতে পারে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS